ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞার পাঁচ মাসেও চাল পায়নি চকরিয়ার জেলেরা

cncমিজবাউল হক, চকরিয়া :::

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের নদীতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়। এসময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সরকার ৪মাস জনপ্রতি ৪০কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়। যা মার্চ মাস থেকে জেলেদের মাঝে প্রতিমাসে বিতরণ করার নিয়ম। কিন্তু মৎস্য আহরণের উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা ৫মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পুনর্বাসনের চাল হাতে পায়নি জেলেরা।

চকরিয়া উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী জানান, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। তাদের মাঝে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ভিজিএফ এর আওতায় ৪মাসের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি ৪০কেজি চাল বিতরণ করার সিন্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু জেলেদের বরাদ্দের চাল বিতরণ করেনি।

চকরিয়ার জেলে সম্প্রদায়ের নেতা দুলাল জলদাস, সুমন জলদাস, লিমন জলদাস ও ননী জলদাস বলেন, আমাদের একমাত্র পেশা হচ্ছে সমুদ্র, নদীতে ও উম্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণ করা। মৎস্য আহরণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু সরকারী ভাবে দুই মাস মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হয় আমাদের। এসময় সরকার ৪০কেজি করে চাল বিতরণের ঘোষণা দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে মৎস্যজীবিদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন জীবিকা চরম কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।

উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, হতদরিদ্রদের ভিজিএফ ও ভিজিটি কার্ড  জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সঠিক সময়ে তাদের কাছে পৌছেছে। অথচ সরকার জেলেদের জন্য ৪০কেজি চাল বরাদ্দ ঘোষণা দিলেও তা চকরিয়ার জেলে সম্প্রদায়ের মাঝে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঘোষণা অনুযায়ী যদি জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করলে কিছুটা হলেও অন্তত উপকার হতো।

এদিকে সরকারের ঘোষিত মৎস্যজীবিদের চাল বরাদ্দের দেওয়ার দাবীতে চকরিয়া উপজেলার দেড় হাজার মৎস্যজীবি গতকাল ৭সেপ্টেম্বর সকাল দশটায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেন।

পাঠকের মতামত: